দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২৬ মে বুধবার ঘোষণা করেছে যে, পাবলিক ভ্যাকসিন গ্রহণ প্রচারে নতুন ব্যক্তিদের জন্য উৎসাহ প্রদানের অংশ হিসাবে, যে সমস্ত লোকেরা প্রথমবারের মতো COVID-19 ভ্যাকসিন পেয়েছে তাদের আর আগামী জুলাই মাস থেকে বাইরে মাস্ক পরিধান করতে হবে না।
প্রতিদিনের আন্তঃসংযোগ করোনভাইরাস প্রতিক্রিয়া সভায় উৎসাহিত কর্মসূচির ঘোষনার মধ্যে প্রত্যক্ষ পরিবারের সদস্যদের প্রথম ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণকারীদের জন্য জমায়েত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেব্রুয়ারিতে তার দ্বি-ডোজ টিকাদান পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করেছে এবং নভেম্বরের মধ্যে একত্রে চলাচলে সংক্রমণ-মুক্ততার ক্ষমতা অর্জনের পরিকল্পনা করেছে।
সরকার দেশটির ৫২ মিলিয়ন জনসংখ্যার ১.৯ মিলিয়ন বা ৩.৮ শতাংশ টিকা সম্পন্ন করেছে।
আগামী জুলাই থেকে যারা প্রথম ভ্যাকসিন পেয়েছেন তারা মাস্ক ছাড়াই বাইরে যেতে পারবে এবং তাদের ধর্মীয় সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থেকে ছাড় দেওয়া হবে।
বৃহত্তর সিউল অঞ্চলে ধর্মীয় সুবিধাগুলি বর্তমানে তাদের পূর্ণ আসনক্ষেত্রের ২০ শতাংশের বেশি গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছে, অন্য অঞ্চলের লোকেরা ৩০ শতাংশ সর্বোচ্চ সীমস বজায় রেখেছে।
পরের মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া ভ্যাকসিন প্রদানে, যারা প্রথম ডোজ পাবেন তাদের সরাসরি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আটজনের জমায়েত নিষেধা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী কিম বু-কিয়ুম বলেছেন, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সরকারের অ্যান্টিভাইরাস পদক্ষেপগুলিকে পুরোপুরি সংশোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে,তখন ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ তাদের প্রথম ডোজ পেয়ে যাবে ধারণা করা হচ্ছে।
কিম আরো বলেছিলেন, ” একত্রে চলাচলে সংক্রমণ-মুক্ততায় পৌঁছানোর সময় আমরা অভ্যন্তরীণ মাস্ক পরিধানের নিয়ম শিথিল করব।
সূত্রঃ- দ্যা কোরিয়া টাইমস
অনুবাদকঃ- মোঃ মিরাজ আহাম্মেদ
(সাংগঠনিক সম্পাদক, ইসো)