কোরিয়ায় বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের কঠোর নীতি

অনুবাদক: আশিকুল ইসলাম, পুচ্ছন সিটি

 

বিদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে যারা কোভিড -১৯ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে কোরিয়ায় প্রবেশ করবে তাদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে করোনা ভাইরাস নেগেটিভ পরীক্ষার ফলাফল জমা দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। শুক্রবার এমনটি জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশ, কাজাখস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিকরা এই নতুন বিধির মধ্যে পরবে বলে মনে করা হচ্ছে। জুন থেকে কোরিয়ার প্রবেশের পথে প্রাপ্ত সংক্রমণের ভিত্তিতে সরকার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির একটি তালিকা তৈরি করেছে। তবে কূটনৈতিক সৌজন্যতার কথা উল্লেখ করে সরকার পুরো তালিকা প্রকাশ করতে অস্বীকার জানায়। মহামারীতে কোরিয়ায় মৌসুমী কর্মীরা যে দেশগুলি থেকে আসছে, সে সব দেশে আকাশ ছোঁয়া আক্রান্ত সংখ্যা আমরা দেখছি, এমনটি জানায় ইয়ং-রায় নামের এক সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান এই দেশগুলি থেকে আগত ব্যক্তিদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। অপর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউন তা-হো বলেছেন: আমরা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সে সব দেশে অবস্থিত কোরিয়ান দূতাবাসগুলির সাথে যোগাযোগ করেছি। যাচাইয়ের জন্য সরাসরি কোরিয়ান দূতাবাসগুলিতে যোগাযোগ করতে পারেন। নতুন পদক্ষেপের অধীনে সেই দেশগুলির কোরিয়ান দূতাবাসগুলি থেকে নির্ধারিত ক্লিনিক থাকবে যেখানে সম্ভাব্য যাত্রীদের পরীক্ষা করানো হবে।

কোরিয়ান সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিদেশী নাগরিকদের সাথে জড়িত মহামারীটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে কোরিয়ান দূতাবাসগুলি অনেক দেশের স্বল্পমেয়াদী ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে এবং নিয়মিত বিমানগুলি বাতিল করেছে। ওইসব দেশ থেকে দীর্ঘদিন ধরে যে সব বিদেশী স্থায়ীভাবে কোরিয়াতে অবস্থান করে আসছে তারা তাদের নিজ দেশে সফর করে কোরিয়ায় ফিরে আসবে, সরকার তাদেরকেও বিমানবন্দরে ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের আগে প্রদত্ত চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এই ব্যবস্থাটি কোরিয়ান নিয়োগকর্তাদের জন্য কঠিন করে তুলেছে। কোরিয়ান সরকার একটি পেশাদার এবং ওয়ার্ক পারমিট সিস্টেমের মাধ্যমে বিদেশী কর্মীদের নিয়োগ দেয়। বেশিরভাগ শ্রমিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আসে। এদিকে, বৃহস্পতিবারের হিসাব অনুযায়ী কোরিয়ায় ৪৫ জন নতুন কোভিড -১৯ আক্রান্ত হয়েছে, যা মোট ১৩,৩৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২৮৮। শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে সরকার উপাসনালয় গুলোর জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়ম কার্যকর করেছে, কারণ উপাসনালয় জায়গাগুলির সাথে যুক্ত নতুন সংক্রমণগুলি এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনেকেই এই নিয়মের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ করছেন, কারণ সারা দেশে কোরিয়ার ৮৩,০০০ এর বেশি প্রটেস্ট্যান্ট গীর্জা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *