কোরিয়ান বর্ণমালার ইতিহাস ২য় পর্ব

#কোরিয়ান_বর্ণমালা_দিবস

আসছে আগামী ৯ অক্টবর দ: কোরিয়ার ঐতিহাসিক বর্ণমালা দিবস। কোরিয়ার ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে রয়েছে এই দিনটি। আমরা তিনটি পর্বে কোরিয়ার বর্ণমালা দিবসের ইতিহাস জানার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ….

পর্ব-২

কোরিয়ার এই অঞ্চলে এক সময় ভাষা বৈসম্য ব্যপক এতোটাই প্রকট ছিল যে উচ্চ অভিজাত শ্রেনীর মানুষ ছাড়া চীনা বর্ণমালা হাঞ্জা লিখতে ও পড়তে পারতো না। আমজনতার জন্য এই বর্ণমালা একপ্রকার নিষিদ্ধ ছিল বললে ভুল হবে না। এই রীতির মাধ্যমে শ্রেনী বৈসম্যের রূপ রেখা টেনে দেওয়া হয়েছিল। হাঞ্জা আসলে কোন বর্ণমালা ছিল না এটি মূলত এক ধরনের নকশা দ্বারা বিভিন্ন বিষের ধারনা দেওয়া হতো। ১৪১৮ থেকে ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দ জোসন যুগের চতুর্থ রাজা সেজং এর শাসন কালে ভাষাগত বৈসম্য দূর করার লক্ষ্যে তিনি কোরিয়া অঞ্চলের সব মানুষের জন্য একক বর্ণমালা তৈরীর একটি যুগপোযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করেন। যদিও এটি সেই সময়রে সমাজ ব্যবস্থার সময় উপযুগী ছিল না। অভিজাত শ্রেনীর আভিজাত্য ও মর্জাদার প্রাচীর ভেঙ্গে সাধারণ মানুষের মাঝে অক্ষর জ্ঞান প্রদানের পদক্ষেপ তারা সহজে মেনে নিতে পারেনি।

শত বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে রাজা সেজং ১৪৪০ খ্রিস্টাব্দে কিছু প্রবীন ও বিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সরল ও সহজবোধ্য বর্ণমালা তৈরীর জন্য দায়ীত্ব প্রদান করেন। বেশ কয়েক বছর মানুষের বাক-প্রতঙ্গের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে পন্ডিতগণ ১৭টি ব্যঞ্জনবর্ণ ও ১১ টি স্বরবর্ণ রাজার নিকট পেশ করেন ১৪৪৬ খ্রিস্টাব্দে। আর সে বছরেই কোরিয়ানদের নিজেস্ব বর্ণমালা হিসাবে রাজা সেজং ঘোষণা করেন “হুনমিন-জং-উম” নামে স্বতন্ত্র বর্ণমালা।

কোরিয়ান বর্ণ, শব্দ ও বাক্যের স্বাধীনতা রাজা সেজং এর মাধ্যমেই ভিত্তিপ্রস্থর হয় যার সাথে সাথে বর্ণবৈসম্যের প্রথম আঘাত হানে আভিজাত শ্রেনীর শ্রেষ্ঠেত্বের মর্জাদায়।
আব্দুস সালাম
সিনিয়র সহ সভাপতি
ইসো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *