কোরিয়ান বর্ণমালার ইতিহাস

#কোরিয়ান_বর্ণমালা_দিবস

আসছে আগামী ৯ অক্টবর দ: কোরিয়ার ঐতিহাসিক বর্ণমালা দিবস। কোরিয়ার ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে রয়েছে এই দিনটি। আমরা তিনটি পর্বে কোরিয়ার বর্ণমালা দিবসের ইতিহাস জানার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ….

পর্ব-১

এ পর্বে আমরা জানবো কোরিয়ার বর্ণমালা উদ্ভবের পূর্বের অবস্থা। কোরিয়ার প্রাচীন ইতিহাস ঘটালে দেখা যায় কোরিয়ান ভাষার ইতিহাস চারটি সময় কালে বিভক্ত করেছেন ঐতিহাসিকগণ-
1. আদিম যুগ- প্রথম শতাব্দী
2. প্রাচীন যুগ- প্রথম থেকে দশম শতাব্দী
3. মধ্য যুগ- দশম থেকে ষোড়শ শতাব্দী
4. আধুনিক যুগ- ষোড়শ শতাব্দী থেকে আজ অব্দি

প্রথম শতাব্দীর গোড়ার দিকে কোরিয়া উপদ্বীপ গুলোতে বেশ কয়টি উপজাতি রাজ্যে বিভক্ত ছিল। বু-ইও (Bu-Yeo), ওকেজিও (Okjeo), দোং-গাই (Dongye) ও গোগুরিও ( Goguryo) এবং দক্ষিণাঞ্চলে শিলা (জিনহান) ও বেনহানে হান নাম ইতিহাসে পাওয়া যায়।

অনেক ঐতিহাসিক ধারণা করে থাকেন এই উপজাতিয় রাজ্যগুলির মধ্যে দুই ধরনের ভাষার প্রচলন ছিল যা জিনহান ও হান নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তিতে এই দুই ভাষার সম্মিলিত ও অন্য কিছু ভাষার বিবর্তিত হয়ে কোরিয়ান ভাষার রূপ লাভ করে।

সপ্তম শতাব্দীর দিকে শিলা রাজ্য উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে রাজ্য সম্প্রসারণের করত:পর কোরিয়া সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন হয় ফলে জিনহান বা শিলান ভাষা প্রধান ভাষা হয়ে উঠে এ অঞ্চলে।

ঐতিহাসিকদের ধারণা মতে দ্বাদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর দিকে কোরিয়া সাম্রাজ্যে বেশ কয়টি আঞ্চলে ভাষার ব্যবহারের কিছুটা টান ও শব্দের পার্থক্য তৈরি হয় যা আঞ্চলিক ভাষা হিসাবে উল্লেখ করেন তার মধ্যে সিউল, খিয়ংছাং, ঝল্লা,হামখিয়ং, ফিয়ংয়ান,হোয়াংহে ও জেজু ।FB_IMG_1538734170452

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *