জনাব মিজানুর রহমান মিজান। দঃকোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী। জন্ম ঝালকাঠি জেলায়।তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেন। মূলত তিনি ছাত্র জীবন থেকেই সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যান পরিষদের সভাপতি ছিলেন। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন ছাত্রআন্দোলনের নেতৃত্বে ও ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়াতে পাড়ি জমান তিনি। দঃকোরিয়ায় তৎকালীন একমাত্র সামাজিক সংঘঠন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ছিলেন জনাব মিজান। বর্তমানে কোরিয়া সরকার দ্বারা স্বীকৃত প্রবাসী বাঙালিদের একমাত্র অভিভাবক সংগঠন BCK এর অন্যতম নির্বাহী পরিষদের সদস্য তিনি ।স্থায়ী কোরিয়ান হিসেবে তিনি বসবাস করছেন খোয়াংজু সিটিতে।তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ESWO প্রতিনিধি, ফেরদৌস টিটু।
ESWO: আস্সালামুআলাইকুম।
মিজানুর রহমান: ওয়ালাইকুম আস্সালাম।
ESWO: কোরিয়ার জীবনে আপনার সফল হওয়ার কারণ কি?
মিজানুর রহমান: প্রায় অনেক বৎসর যাবৎ কোরিয়াতে আছি। শুরু থেকেই ভেবেছি নিজের জীবনকে পাল্টাতে। তাই অনেক কস্ট করে জীবনের সাথে একপ্রকার যুদ্ধ করে আজকে আলহামদুলিল্লাহ সফল। ইতিমধ্যে কোরিয়াতে একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছি। বাংলাদেশেও রয়েছে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, সেখানে কয়েকজনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।
ESWO: EPS এ আসা প্রবাসীদের নিয়ে এত ব্যস্ততার মাঝেও কিভাবে সেবামূলক কাজ করে থাকেন। ব্যস্ততার কারণে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় কি?
মিজানুর রহমান: EPS প্রবাসীরা কোন বিপদে পড়লে শত প্রতি কুলতার মাঝেও ছুটে যাই তার সমস্যা সমাধান করার জন্য। কেউ অসুস্থ হলে কিংবা কেউ চাকরীহিন থাকলে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করে থাকি।
ESWO: EPS এ আসা প্রবাসীদের প্রতি কোন পরামর্শ যদি থাকে।
মিজানুর রহমান: কোরিয়াতে কষ্টার্জিত টাকা যাতে অন্য পথে খরচ না করে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। সৎ মনোভাব নিয়ে চলা ও যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। উপার্জিত অর্থ বৈধপন্থায় দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখবে। মালিকের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে ইত্যাদি।
ESWO: ESWO নিয়ে আপনার ভাবনা কি?
মিজানুর রহমান: সকালের সূর্যই বলে দেয় আজকের দিনটা কেমন যাবে। তাই ESWO’র গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে যাত্রা শুরু করছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে দিন দিন এটা মা নুষের মনিকোঠায় স্থান করে নিবে। আমি ESWO এর সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করি।
ESWO: অনেক অনেক ধন্যবাদ ESWO কে মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য।
মিজানুর রহমান: ESWO পরিবারকেও ধন্যবাদ।