রেমিটেন্স পাঠানোতে সেরা হলেন তাপস চক্রবর্তী

তাপস চক্রবর্তী। জন্ম ফেনী জেলায়। ৩১ শে ডিসেম্বর ১৯৭৬। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। রাজেশ্বরী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রিয় বাংলাদেশ থেকে EPS এর আওতায় কোরিয়াতে আগমন করেন। তার কর্ম দক্ষতা, সততা যোগ্যতার বলে ২০১৩ সালে সেরা বিদেশী চাকুরীজিবীর SECO কোম্পানির Best Award অর্জন করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ব্যাংকের মাধ্যমে বৈধ পন্থায় টাকা পাঠিয়ে Best remitence sender হিসাবে BCK Award ২০১৫ অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কোরিয়ার সনামধন্য SECO Company তে কর্মরত আছেন।
সাক্ষাৎকারটি গ্রহন করেছেন ESWO প্রতিনিধি জিয়াউল হক জিয়া

ESWO: কোরিয়াতে উপার্জিত অর্থ দেশে কিভাবে বিনিয়োগ করেছেন?
তাপসচক্রবর্তী: ধন্যবাদ। আমি দেশে একটা ছোটখাটো কোম্পানি চালাচ্ছি। বিধাতার অপার কৃপায় সেই কোম্পানিতে ১০-১২ জন লোকের ও কর্মসংস্থান করেছি।
ESWO: EPS সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
তাপসচক্রবর্তী: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশ EPS এর আওতায় কোরিয়াতে অবস্থানকে সাধুবাদ জানাই। দিন দিন বাংলাদেশের শ্রমিক বৃদ্ধি পেয়ে কোরিয়াতে দেশের সম্মান বয়ে আনুক এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুক এটাই কামনা। পাশাপাশি যারা কোরিয়াতে অবস্থান করছেন তাদের উপর নির্ভর করে দেশের ভাবমূর্তি, সেটা যেন আমরা ভুলে না যাই।
ESWO: আপনার কোম্পানি এওয়ার্ড ২০১৩ ও বেস্ট রেমিটেন্স সেন্ডার BCK এওয়ার্ড ২০১৫ পেয়েছেন। আপনার অভিমত কি?
তাপসচক্রবর্তী: আসলে সব পুরস্কারই জীবনে আনন্দদায়ক। কোম্পানিতে ভাল পারফরমেন্স করার জন্য অনেক অনেক বিদেশীদের মধ্যে এওয়ার্ড পেলাম এটা সত্যিই গর্বের বিষয়। মনে হলো আমাকে নয় পুরো বাংলাদেশকেই পুরস্কৃত করলো আর BCK এওয়ার্ড সেও অনেকে সুখের বিষয়। আমি কোরিয়াতে আসার পর কখনো অবৈধ পথে দেশে টাকা পাঠাইনি, তাই সকলকে বলবো বৈধ পন্থায় টাকা পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে সহযোগী হোন।
ESWO: ESWO সংঘঠন সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
তাপসচক্রবর্তী: কোরিয়াতে যে সব সংঘঠনগুলো রয়েছে যেমন, BCK, ESWO ইত্যাদি এসব সংঘঠনের কার্যপ্রণালী খুবই মনোমুগ্ধকর। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো অন্যান্য সংগঠনগুলি ESWO এর কার্যক্রম কে অনুসরণ করে এগিয়ে যাচ্ছে ESWO সংঘঠনের পথ চলা এগিয়ে যাক এবং EPS এ আসা প্রবাসী বাংলাদেশীদের উন্নয়নে অবদান রাখুক এটাই প্রত্যাশা করি।
ESWO: আপনাকে ধন্যবাদ।
তাপসচক্রবর্তী: আপনাদের ও ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *