ESWO: আসসালামু আলাইকুম
ড. মোঃ হিজবুল আলমঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম ওরাহমাতুল্লাহ।
ESWO: কেমন আছেন?
ড. মো: হিজবুল আলম: আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমতে ভাল আছি।
ESWO: কোরিয়া তে আসার প্রেক্ষাপট এবং আপনার অভিজ্ঞতা কি?
ড. মো: হিজবুল আলম: কম্পিউটার বিজ্ঞানে অনার্সে পড়া অবস্থায় আমার বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন ও গবেষণার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ২০০৫ সালে অনার্স পাশ করার পর আমি শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিয়েছিলাম। এ সময় আমি বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খোঁজ নিতে শুরু করেছিলাম এবং পছন্দনীয় গবেষণার বিষয়বস্থু নিয়ে পড়াশোনা করতে লাগলাম। ২০০৭ সালের শুরুতে আমার কয়েকজন কলিগ উচ্চশিক্ষার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াতে এসেছিল। এটা আমাকে দক্ষিণ কোরিয়া গবেষণার অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী করে তুলল। Times Higher Education এর ২০০৭ র্যাংকি এ টপ ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় দেখলাম। এতে কোরিয়ার সম্পর্কে আমার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেল। কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের আমার গবেষণার আগ্রহের কথা জানিয়ে ইমেইল করলাম এবং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে লাগলাম। আলহামদুলিল্লাহ্ একসময় কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি গবেষণার জন্য ফুল স্কলারশিপের অফার পেলাম। অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে ২০১৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করলাম।
ESWO: কোরিয়ায় গবেষণার ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন কি?
ড. মো: হিজবুল আলম: গবেষণায় অর্থ বরাদ্দে কোরিয়া শীর্ষদেশ গুলার মধ্য একটি। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নামকরা সব জার্নাল থেকে রিসার্চ পেপার ডাউনলোড করা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কনফারেন্সে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের স্পন্সর করা হয়। বিশ্বের নামকরা গবেষকরা কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে কোলাবরেশনে কাজ করছে এবং কোরিয়ার গবেষণার উচ্চ প্রশংসা করে। যেমন আমার ইউনিভার্সিটিতে আমি বেশ কয়েকজন ইউএসএ প্রফেসরের সেমিস্টার ব্যাপি ক্লাস এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছি। এখানকার প্রফেসরেরা ছাত্রদের ভাল জার্নালে পাবলিশ করার জন্য উৎসাহিত করে ও অনেক অর্থ বরাদ্দ দেয়।
ESWO: আপনার সফলতার পেছনে কার অবদান কেমন?
ড. মো: হিজবুল আলম: আমার সফলতার জন্য সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ পাকের শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি যিনি আমার জন্য সব কিছু সহজ করে দিয়েছেন। এরপর আমার মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমার পড়াশুনা নিয়ে তার ত্যাগ, পেরেশানি কখনই ভুলার নয়। আমার পড়াশুনা তার নাম্বার ওয়ান প্রাইওরিটি ছিল। আব্বা, আত্মীয়স্বজন, শিক্ষকবৃন্ধ, সিনিয়র ভাই ও বন্ধু সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে বিশেষ ভাবে অবদান রেখেছে। সবার অক্লান্ত পরিশ্রম ও দোয়ার কারনে আমার উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণ হয়েছে।
ESWO: বাংলাদেশিদেরকে কোরিয়াতে গবেষণা করতে আসার ক্ষেত্রে আপনার মতামত যদি বলেন।
ড. মো: হিজবুল আলম: কোরিয়াতে ভাল উঠতি গবেষক প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই প্রফেসররা ভাল স্টুডেন্টের খোঁজে থাকে। সময় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা প্রফেসরদের ওয়েবপেইজে খোঁজ করলে ফুল স্কলারশিপ পাওয়া যাবে ইনশাল্লাহ। স্কলারশিপ পেতে একটু সময় লাগতে পারে এজন্য নিরাশ না হয়ে আল্লাহর উপর তাওক্কাল করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ESWO: বাংলাদেশি স্টুডেন্টদের প্রতি আপনার কি আহবান থাকবে কোরিয়াতে এসে গবেষণা করার ব্যাপারে।
ড. মো: হিজবুল আলম: গবেষণা নিজের পকেটের পয়সা অথবা পার্ট টাইম জব করে হয় না। উপরন্তু ভাষার কারণে পার্ট টাইম জব কোরিয়াতে খুবই অপ্রতুল। তাই কোরিয়াতে ফুল স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে আসার চেষ্টা করতে হবে। একারনে বিএসসিতে ভাল রেসাল্ট করার জন্য সচেস্ট থাকতে হবে। পাশাপাশি..
1 Comment
Very nicely presented the real situation of higher studies scope in Korea. Thank you very much Dr. Hizbul Alam Vai.