পর্ব-৩
উনিশ শতকের দিকে কোরিয়ায় জাতিয়তাবাদের উন্মেষ ঘটলে হুনমিন-জং-উম এর পরিবর্তে খুংমুন নাম করণ করা হয় যা হাঞ্জা ব্যবহারের চেয়ে অধিক সহজ হওয়ায় তা ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একই সময়ে জাপানিরা কোরিয়া দখল করে কোরিয়ান সংস্কৃতি ধ্বংসের জন্য প্রথমে খুংমুন ভাষা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কিন্তু জাপানিরা তাতে সফল হতে পারেনি। জাপানিদের নিষেধাজ্ঞার ফলে কোরিয়ানরা এই খুংমুন ভাষা জোরালো ভাবে আকড়ে ধরে যার মধ্য দিয়ে গোটা কোরিয়ান জাতি ঐক্যবদ্ধ হবার সুযোগ পায়।
১৯৩৩ সালের দিকে কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ সোসাইটির উদ্দ্যগে ভাষা ও বর্ণমালা সংরক্ষন করা হয়। আর এর নাম করণ করা হয় হাংগুল বা কোরিয়ান লিপি।
আধুনিক হাংগুল বর্ণমালায় ২৪ টি ও যুক্তবর্ণ ১৬ টি রয়েছে যার মধ্য স্বরবর্ণ ১০ টি ব্যঞ্জনবর্ণ ১৪ টি এছাড়া যুক্ত স্বরবর্ণ ১১ টি ও যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ ৫ টি রয়েছে।
সারা বিশ্বে প্রায় ৭৭.২ মিলিয়ন মানুষ কোরিয়ান ভাষা ব্যবহার করে তার মধ্যে ৪৮.৫ মিলিয়ন দ: কোরিয়া, ২৩.৩ মিলিয়ন উত্তর কোরিয়া, কোরিয়া-চীন সিমান্ত প্রদেশে চীনে ২.৭ মিলিয়ন এছাড়া জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, আর কিছু দেশে কোরিয়ান ভাষাভাষি রয়েছে।
উল্লেখ যে দ: কোরিয়াতে হানগুলনাল এবং উত্তর কোরিয়াতে চসনগ্ল্যা ডে বলা হয়। এটি দ: কোরিয়াতে ৯ অক্টোবর এবং উত্তর কোরিয়াতে ১৫ জানুয়ারী পালন করা হয়।২০১৩ সাল থেকে দ: কেরিয়াতে 한글날 জাতীয় ছুটি ঘোষনা করা হয়।(শেষ)।