আসসালামু আলাইকুম।
বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রেই এশিয়ার ফোর টাইগারের একটি দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। ২০০৭ সালে ইপিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে একটি নতুন মাত্রা এসেছে। কোরিয়া প্রবাসীরা অনেক কষ্ট পরিশ্রম করে দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন এবং দেশের অর্থনীতিতে অনেক বেশি অবদান রাখছেন। কোরিয়াতে প্রবাসীরা সংখ্যা মাত্র ১৫ হাজারের মত হলেও রেমিটেন্সের পরিমাণ তুলনামূলক অনেক বেশি। অন্যান্য দেশের তুলনায় কোরিয়ার আর্থ সামাজিক অবস্থান একটু ভিন্ন। কোরিয়াতে কাজের অভাব নেই। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও অনেকেই কাজ করেন অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য। কিছু প্রবাসী আছেন যারা ছুটির দিনগুলোতে অতিরিক্ত কাজ না করে সামাজিক কাজে ব্যয় করেন। বিদেশের মাটিতে নিজের ছুটির সময়গুলোতে প্রবাসীদের জন্য কাজ করা কঠিন একটি বিষয়। ইপিএস স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন একটি সংগঠন যেখানে কিছু প্রবাসী কোরিয়ার মত দেশে নিজেদের অবসর সময়টুকু প্রবাসী ভাইদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ইপিএস কর্মী ভাইদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ইসো ইপিএস কর্মীদের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করে যা ইতিমধ্যে সর্বমহলের প্রসংশা পেয়েছে। ইসোর কাছে প্রত্যাশা থাকবে তারা যেন পুরো কোরিয়াতে এই ধরণের কর্মশালা আরো বেশি আয়োজন করে। ইপিএস কর্মী ভাইয়েরা এই ধরণের কর্মশালা থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারে। কোরিয়াতে বাংলাদেশী প্রবাসী বাড়ানো কমিউনিটিগুলোর একটি বড় লক্ষ্য। বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়া (বিসিকে) সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। বিসিকে কোরিয়ার সকল সামাজিক সংগঠনকে সহযোগিতা করবে।
ইসোর যেকোন ভাল উদ্যোগে বিসিকে পাশে থাকবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
সরওয়ার কামাল
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়া।